কবিতা 

হিম ঋতব্রত এর কবিতা ।। সপ্তমী দাশ

সপ্তমী দাশ – ০৭

তোমার ভেতরে আহা এত স্নিগ্ধ শান্তি, মুগ্ধতা! 

এত নরম হৃদয় তোমার! 

 

আমি ক্ষত্রিয় হয়েও— তীর ছুঁড়তে পারি না 

নীরব সন্ন্যাসে চলে যাই!

 


 

সপ্তমী দাশ – ০৮

এ— কী গান গাও তুমি সপ্তমী দাশ

আমাকে কোন মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাও

স্বর্গসুরে ভাসিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাও কোন নরকে! 

 

জ্বলতে জ্বলতে পুড়তে পুড়তে জেগে উঠি!

এ কেমন উপহার— শাস্তি— শান্তি? 

নরকের ভেতর স্বর্গ— স্বর্গের ভেতর পৃথিবী— পৃথিবীর ভেতর নরক…

 

এ কোন গান গাও তুমি সপ্তমী দাশ! 

আমাকে কোন জন্মের দিকে নিয়ে যাও! 

ক্রমেই জন্মের ভেতর— মৃত্যুর ভেতর ডুবে যাই 

তুমি গান গাও…

 


 

সপ্তমী দাশ – ০৯

চুলে হাত বিলি কাটে, কান ছুঁয়ে নরম লতি, মসৃণ গ্রীবা ও বিউটি বোন। 

 

চোখ, নাক, ঠোঁট, থুতনি যথাক্রমে চোখে, নাকে, ঠোঁটে, থুতনিতে…পুনরায় ঠোঁটে ঠোঁট, সমস্ত মুখমণ্ডল জুড়ে আগুনের তীব্র দাপট। 

চুম্বনে চুম্বনে স্লোমাশান নেমে যাচ্ছে শান্ত পোশাক। ফর্সা বুক— মৃদু ঢেউ স্তনে সোনালী কাঁচা লোম। মর্দনে, চোষনে স্বর্গের কত কাছাকাছি যাওয়া যায় এবং কতটা তছনছ করা যায় স্বর্গকে!

 

বুকের রণক্ষেত্র থেকে আদিম গৃহযুদ্ধ ধেয়ে আসে পেট ও নাভিদেশে। সাপের তলোয়ার জিভ নাড়ে— কচি কোমর,ঊরু, কামজ কূপ! 

যুদ্ধ যুদ্ধ মহাযুদ্ধ… যুদ্ধরসে টলমল দেহাভ্যন্তরের সমস্ত সৈনিক।

 


 

সপ্তমী দাশ – ১০

রেললাইনের মতো সরল আমাদের জীবন। 

পাশাপাশি সমান্তরাল ছুটতে ছুটতে একে অপরকে দেখি

অথচ পৃথিবীর এই রেখা দুটি কোনোদিন হয়না এক!

 


 

সপ্তমী দাশ – ১১ 

সারসের মতো বিশাল ডানা মেলে চলে যাও বুকের পাশ দিয়ে 

ধারালো পালকে কেটে যাওয়া হৃদয় আমার চেয়ে থাকে—

তোমার উড়ে যাওয়া আকাশের দিকে…

 


 

সপ্তমী দাশ – ১২ 

কী এক ইশারা তোমার 

কী নীলরূপী সুন্দরী মুখ

শরীরে বিষের বোতল রেখে ডাকো আমাকে—

 

আর সামনে কবর জেনেও মৃত্যুর দিকে যাই!

 


 

সপ্তমী দাশ – ১৩ 

ফুলের কাছে যাই— ছুঁই, ঘ্রাণ নিই বুকে 

ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাসে ভরে ওঠে তোমার মুখ ও মন।

 

আমি ফুল ছিঁড়ি না!

Related posts